মালদা

ঘাটের লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ঘটনায় আহত তিন

টাঙ্গন নদীর ঘাট লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদার হবিবপুর থানার পুলিশ।

    শুক্রবার রাত্রিবেলা মালদার হবিবপুর থানা রানীগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে রানীগঞ্জ এলাকার ঘাটের লিজ পায় এলাকার তৃণমূল সমর্থক ধনঞ্জয় সরকার। এবারও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ঘাটের লিজ দেওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ধনঞ্জয় সরকার ও এলাকার বিজেপি সমর্থক শিবা বিশ্বাস। বাৎসরিক দু'লক্ষ ৪১ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ঘাটের লিজ পায় ধনঞ্জয় সরকার। এরপর থেকেই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ এদিন রাত্রিবেলা তাদের কর্মী সমর্থকরা নদীর ধারে বসেছিল। সেই সময়ে শিবা বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তাদের বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় ধনঞ্জয় সরকার সহ মোট তিনজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়। আহতরা বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।

    এই ঘটনায় আহত ধনঞ্জয় সরকার জানান, ঘাটের ডাকে তারা জয়ী হয়েছে, যার কারণে তাদের উপর রাগ ছিল বিজেপি কর্মী শিবা বিশ্বাসের। সেই জন্য এদিন রাতে দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালান হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

    এই ঘটনায় জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি অম্লান ভাদুরি জানান, হবিবপুরের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি জিতেছে। এরপর থেকে তারা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। শুধু এখানেই নয়, তৃণমূলের উপর বিভিন্ন এলাকায় কখনো কংগ্রেস-সিপিএম জোট, কখনো বিজেপি তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা সকলকে শান্ত থাকতে বলেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবে তার উপর আমাদের আস্থা আছে বলে তিনি জানান।

    এদিকে তৃণমূলের অভিযোগের বিষয়ে বলতে গিয়ে বিজেপির অজয় গাঙ্গুলি দাবী করেন, ঘাটের লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে কোন গণ্ডগোল নেই। তবে তৃণমূলের এক কর্মী ঘাট লিজে নিয়েছে কিন্তু সে বিজেপির কোন সমর্থকদের ঘাট পারাপার করতে দেবে না বলে জানায়। আর এই নিয়েই গণ্ডগোল বাধে। মিথ্যা মামলায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ফাঁসানোর যে চক্রান্ত করছে ওই এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলে দাবী করেন তিনি।